
shershanews24.com
প্রকাশ : ১৮ মে, ২০২৫ ১১:২৬ অপরাহ্নশীর্ষনিউজ, ঢাকা: চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তারা কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।
চাকরি ফিরে পাওয়াসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিনভর বিক্ষোভ করেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার তারা একটি বিবৃতি দিয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানাবেন। এই সময় পর্যন্ত ঢাকার বাইরে থেকে আসা আন্দোলনকারীদের ঢাকায় অবস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় বলেছেন, ১০ বছরের কম চাকরি করে যাঁরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাঁদের পুনর্বহালের সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। যাঁদের চাকরির বয়স শেষ, তাঁদের পেনশনের আওতাভুক্ত করবেন। যাঁরা চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদনের দরকার নেই। আর যাঁরা আবেদন করেননি, তাদের আবেদন দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আজ রাতের মধ্যে আমাদের কাছে আবেদন পৌঁছে দেবেন।’
‘বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্ল্যাটফর্ম’–এর ব্যানারে রোববার সকাল ৭টার পর থেকেই আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাব এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর গেটের দিকে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেওয়ায় এগোতে পারেননি। বেলা ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান। পরে দুই দফা তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে তিনি গাড়িবহর নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
আন্দোলনকারীদের একটি দাবি ছিল শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক চাকরিচ্যুত সৈনিক নাঈমুল ইসলামসহ তিনজনের মুক্তি দিতে হবে। এ বিষয় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে দাবি ছিল নাঈমুল ইসলামকে আজ রোববার মুক্তি দিতে হবে। যেহেতু সন্ধ্যা ৬টা পার হয়ে গেছে, সেজন্য আগামীকাল নাঈমুলসহ যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আপনারা আগামীকাল পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন। মুক্তি না দিলে আবার কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
কামরুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসেছেন, একজন কর্নেল এসেছেন, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হচ্ছে। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে বিষয়গুলো দেখবেন।’
(শীর্ষনিউজ/ক.ম)